Thursday, 24 December 2015

বিদআতে হাসনাহ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহে ববাকাতুহু 📶 📶
✏বিদআতে হাসনাহ’ নামক কোন বিদআত আছে কি, যা করলে সওয়াব হয়? যেহেতু হাদিসে আছে, “যে ব্যক্তি ইসলামে ভাল রীতি চালু করবে, সে তাঁর নিজের এবং সমস্ত লোকের সওয়াব পাবে, যারা তাঁর (মৃত্যুর) পর তাঁর উপর আমল করবে। তাঁদের সওয়াবের কিছু পরিমাণও কম করা হবে না। ৮৪ (মুসলিম)
‘✏বিদআতে হাসানাহ’ (ভাল বিদআত) বলে কোন বিদআত নেই। বরং প্রত্যেক বিদআতই ‘সাইয়্যিআহ’ (মন্দ)। মহানদি (সঃ) বলেছেন,
“প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।” ৮৫ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
আর হাদীসে যে ভাল রীতি চালু করার কথা বলা হয়েছে, তা নতুন কোন রীতি নয়। বরং যে রীতি শরীয়ত সম্মত কিন্তু কোন জায়গায় তা চালু ছিল না। কোন ব্যক্তি তা চালু করলে তাঁর ঐ সওয়াব হয়। পূর্ণ হাদিসটি পড়লে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন, কোন শ্রেণীর রীতির কথা বলা হয়েছে।
✏জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ (রঃ) বলেন, “একদা আমরা দিনের প্রথম ভাগে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর নিকটে ছিলাম। অতঃপর তাঁর নিকট কিছু লোক এল, যাঁদের দেহ বিবস্ত্র ছিল, পশমের ডোরা কাটা চাদর (মাথা প্রবেশের মত জায়গা মাঝে কেটে) পরে ছিল অথবা ‘আবা’ (আংরাখা) পরে ছিল, তরবারি তাঁরা নিজেদের গর্দানে ঝুলিয়ে রেখেছিল। তাঁদের অধিকাংশ মুযার গোত্রের (লোক) ছিল; বরং তাঁরা সকলেই মুযার গোত্রের ছিল। তাঁদের দারিদ্রতা দেখে রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর চেহারা পরিবর্তন হয়ে গেল। সুতরাং তিনি (বাড়ীর ভেতরে) প্রবেশ করলেন এবং পুনরায় বের হলেন। তারপর তিনি বেলালকে (আযান দেওয়ার) আদেশ করলেন। ফলে তিনি আযান দিলেন এবং ইকামত দিলেন। অতঃপর তিনি নামায পরে লোকেদেরকে (সম্বোধন করে) ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন, “হে মানব সম্প্রদায়! তোমরা তোমাদের প্রতিপালককে ভয় কর, যিনি তোমাদের এক ব্যক্তি হতে সৃষ্টি করেছেন ও তা হতে তাঁর সঙ্গিনী সৃষ্টি করেছেন, যিনি তাঁদের দুজন থেকে বহু নরনারী (পৃথিবীতে) বিস্তার করেছেন। সেই আল্লাহকে ভয় কর, যার নামে তোমরা একে অপরের নিকট যাচঞা কর এবং জ্ঞাতি-বন্ধন ছিন্ন করারকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের উপর তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখেন।” (সূরা নিসা ১ আয়াত) অতঃপর দ্বিতীয় আয়াত যেটি সূরা হাশর এর শেষে আছে সেটি পাঠ করলেন, “যে বিশ্বাসীগণ! তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর, আর প্রত্যেকেই ভেবে দেখুক যে, আগামিকালের (কিয়ামতের) জন্য সে অগ্রিম কি পাঠিয়েছে। তোমরা আল্লাহ্‌কে ভয় কর। নিশ্চয় তোমরা যা কর আল্লাহ সে সম্পর্কে অবহিত।” (সূরা হাশর ১৮ নং আয়াত)
“✏সুতরাং প্রত্যেক ব্যক্তি যেন নিজ দ্বীনার (স্বর্ণমুদ্রা), দিরহাম (রৌপ্যমুদ্রা), কাপড়, এক সা’ গম ও এক সা’ খেজুর থেকে সাদকাহ করে।” এমনকি তিনি বললেন, “খেজুরের আধা টুকরা হলেও (তা যেন দান করে।)” সুতরাং আনসারদের একটি লোক (চাঁদির) একটি থলে নিয়ে এল, লোকটির করতল যেন তা ধারণ করতে পারছিল না; বরং তা ধারণ করতে অক্ষমই ছিল। অতঃপর (তা দেখে) লোকেরা পরস্পর দান আনতে আরম্ভ করল। এমনকি খাদ্য সামগ্রী ও কাপড়ের দুটি স্তূপ দেখলাম। পরিশেষে আমি দেখলাম যে, রাসুলুল্লাহ (সঃ) এর চেহারা যেন সোনার মতো ঝলমল করছে। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, “যে ব্যক্তি ইসলামে ভাল রীতি চালু করবে, সে তাঁর নিজের এবং ঐ সমস্ত লোকের সওয়াব পাবে, যারা তাঁর (মৃত্যুর) পর তাঁর উপর আমল করবে। তাঁদের সওয়াব কিছু পরিমাণও কম করা হবে না। আর যে ব্যক্তি ইসলামে কোন মন্দ রীতির প্রচলন করবে, তাঁর উপর তাঁর নিজের এবং ঐ লোকেদের গোনাহ বর্তাবে, যারা তাঁর (মৃত্যুর) পর তাঁর উপর আমল করবে। তাঁদের গোনাহর কিছু পরিমাণও কম করা হবে না।”৮৬ (মুসলিম)
✒লক্ষণীয় যে, দান করা একটি ভাল রীতি। কিন্তু অনেকের মধ্যে যে প্রথম শুরু করবে, তাঁর হবে উক্ত সওয়াব। কোন নতুন রীতি আবিষ্কার করা উদ্দেশ্য নয়। হাদীসের শব্দে ঐ রীতিকে ‘সুন্নাহ’ বলা হয়েছে, যা বিদআতের বিপরীত। সুতরাং ‘বিদআতে হাসনার’ দলীল তাতে নেই।
বলা বাহুল্য, উক্ত হাদীসে নতুন রীতি চালু করার পর্যায়ভুক্ত তিন প্রকার কাজঃ-
(ক) শরিয়তসম্মত ভাল কাজ। কিন্তু অনেকের মধ্যে সর্বপ্রথম করা।
(খ) কোন সুন্নত কাজ, যা উঠে গিয়েছিল বা লোকমাঝে প্রচলিত করা অথবা জানিয়ে তাঁর প্রচলন করা।
(গ) কোন এমন কাজ করা, যা কোন শরীয়তসম্মত ভাল কাজের মাধ্যম। যেমন দ্বীনী মাদ্রাসা নির্মাণ করা, দ্বীনী বই-পত্র ছাপা ইত্যাদি
[ (ইবনে উষাইমীন ৮৭ ]

Wednesday, 23 December 2015

ঈদে মিলাদুন-নাবী পালন করা বিদআত কেন ❔❔

ঈদে মিলাদুন-নাবী পালন করা বিদআত কেন 
ℹℹℹℹ
‘ঈদে মীলাদুন নাবী’ (নবী দিবস) পালন করা বৈধ নয় কেন ?
মহান আল্লাহ আমাদের দ্বীন ইসলামকে পূর্ণাঙ্গ করে দিয়েছেন তাঁর নবীর জীবদ্দশাতেই। মহান আল্লাহ বলেন, “আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করলাম ও তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ (নেয়ামত) সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের ধর্মরূপে মনোনীত করলাম।(সূরা মায়েদাহ ৩ আয়াত)
আর মহানবী (সঃ) বলেন, “ যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) ব্যপারে নতুন কিছু আবিষ্কার করে, সে ব্যাক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।” ৯১ (বুখারী ও মুসলিম) “যে ব্যক্তি এমন কোন কাজ করে, যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই, সে ব্যক্তির সে কাজ প্রত্যাখ্যাত।” ৯২ (মুসলিম)
ইসলামে পালনীয় ঈদ হল মাত্র দুটি; ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা। তৃতীয় কোন ঈদ ইসলামে নেই। মহানবী (সঃ) নবুয়তের ২৩ বছর কাল নিজের জীবনে কোন বছর নিজের জন্মদিন পালন করে যাননি। কোন সাহাবীকে তা পালন করার নির্দেশও দেননি। তাঁর পূর্ববর্তী নবীদের জন্ম মৃত্যু উপলক্ষে কোন আনন্দ অথবা শোকপালন করে যাননি।
তাঁর পরবর্তীকালে তাঁর চারজন খলীফা তাদের খেলাফতকালে রাষ্ট্রীয়ভাবে অথবা একেকভাবে নাবীদিবস পালন করে যাননি। অন্য কোন সাহাবী বা আত্মীয়ও তাঁর প্রতি এত ভালবাসা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও তাঁর জন্মদিন উপলক্ষে শোক পালন করেননি। তাঁদের পরেও কোন তাবেঈ অথবা তাঁদের কোন একনিষ্ঠ অনুসারী অথবা কোন ইমাম তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুদিন পালন করার ইঙ্গিত দিয়ে যাননি। সুতরাং তা যে নব আবিষ্কৃত বিদআত, তা বলাই বাহুল্য।
খ্রিস্টানরা আন্দাজে ২৫ শে ডিসেম্বর যীশু খ্রিস্টের জন্মোৎসব (মীলাদ, বড়দিন বা ক্রিসমাস ডে) এবং তাঁদের পরিবারের প্রত্যেক ব্যক্তির জন্মদিন (বার্থডে) বড় আনন্দের সাথে পালন করে থাকে। মুসলিমরা তাঁদের মত আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার উদ্দেশ্য এই বিদআত ওদের নিকট হতেই গ্রহণ করে নিয়েছে। তাই এরাও ওদের মত নবীদিবস (ঈদে-মীলাদুন-নাবী) এবং পরিবারের সভ্যদের (বিশেষ করে শিশুদের) ‘হ্যাপি বার্থ ডে’র অনুষ্ঠান উদযাপন করে থাকে। অথচ তাঁদের রাসুল (সঃ) তাঁদেরকে সাবধান করে বলেন, “ যে ব্যক্তি কোন সম্প্রদায়ের সাদৃশ্য অবলম্বন করে সে তাদেরই একজন।”
[ ৯৩ আবুদাঊদ ]

Tuesday, 22 December 2015

বিদআত’ কাকে বলে?

‘বিদআত’ কাকে বলে? কখন কোন কাজকে ‘বিদআত’ বলে আখ্যায়ন করা হবে?
🌾🌾🌾🌾🌾
বিদআত বলা হয় দ্বীন ও ইবাদতে নব আবিষ্কৃত কাজকে। অর্থাৎ দ্বীন বা ইবাদত মনে করে করা এমন কাজকে বিদআত বলা হবে, যে কাজের কুরআন ও সহীহ সুন্নাহর কোন দলীল নেই। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন,
“তোমরা (দ্বীন) নব উদ্ভাবিত কর্মসমূহ (বিদআত) থেকে বেঁচে থাকবে। কারণ, প্রত্যেক বিদআতই ভ্রষ্টতা।” ৮১ (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)
“যে ব্যক্তি আমার এই দ্বীনে (নিজের পক্ষ থেকে) কোন নতুন কিছু উদ্ভাবন করল--- যা তাঁর মধ্যে নেই, তা প্রত্যাখ্যানযোগ্য।” ৮২ (বুখারী ও মুসলিম)
মুসলিমের অন্য এক বর্ণনায় আছে, “যে ব্যাক্তি এমন কাজ করল, যে ব্যপারে আমাদের নির্দেশ নেই, তা বর্জনীয়।”
বলা বাহুল্য, নব আবিষ্কৃত পার্থিব কোন বিষয়কে বিদআত বলা যাবে না। যেমন শরীয়াতে নিষিদ্ধ কোন কাজকে বিদআত বলা হয় না। বরং তাকে অবৈধ, হারাম বা মাকরূহ বলা হয়।

Monday, 21 December 2015

সালাত

 ফরজ নামাজ
ফজরের ছালাতের জামা‘আত চলা অবস্থায় সুন্নাত পড়তে থাকা?
ফজরের ছালাতের জামা‘আত চলা অবস্থায় সুন্নাত পড়তে থাকা?
ইক্বামত হওয়ার পর এবং রীতি মত জামা‘আত চলছে এমতাবস্থায় বহু মসজিদে ফজর ছালাতের সুন্নাত আদায় করতে দেখা যায়। মাওলানা মুহিউদ্দ্বীন খান লিখেছেন, ‘জামাআত শুরু হওয়ার পর কোন নফল নামায শুরু করা জায়েয নয়। তবে ফজরের সুন্নত এর ব্যতিক্রম’।[1] অথচ উক্ত দাবী সুন্নাত বিরোধী। কারণ যখন ফরয ছালাতের ইক্বামত হয়ে যায়, তখন সুন্নাত পড়া যাবে না।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ إِذَا أُقِيْمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوْبَةُ.
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হবে তখন ফরয ছালাত ব্যতীত আর কোন ছালাত নেই’।[2]
উল্লেখ্য যে, ‘ফজর ছালাতের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত ছালাত নেই’[3] এই ব্যাপক ভিত্তিক হাদীছের আলোকে বলা হয়, ফজর ছালাতের সুন্নাত আগে পড়তে না পারলে, সূর্য উঠার পর পড়তে হবে। সেকারণ উক্ত আমল সমাজে চালু আছে। অথচ উক্ত হাদীছের উদ্দেশ্য অন্য যেকোন ছালাত। কারণ ফজরের পূর্বে সুন্নাত পড়তে না পারলে ছালাতের পরপরই পড়ে নেয়া যায়। উক্ত মর্মে স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
عَنْ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ رَأَى رَسُوْلُ اللهِ رَجُلاً يُصَلِّى بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلاَةُ الصُّبْحِ رَكْعَتَانِ فَقَالَ الرَّجُلُ إِنِّىْ لَمْ أَكُنْ صَلَّيْتُ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا فَصَلَّيْتُهُمَا الآنَ فَسَكَتَ رَسُوْلُ اللهِ .
ক্বায়েস ইবনু ‘আমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) একদা ফজরের ছালাতের পর এক ব্যক্তিকে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ফজরের ছালাত দুই রাক‘আত। তখন ঐ ব্যক্তি বলল, আমি ফজরের পূর্বের দুই রাক‘আত আদায় করিনি। তাই এখন সেই দুই রাক‘আত আদায় করলাম। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) চুপ থাকলেন।[4]
অতএব প্রচলিত অভ্যাস পরিত্যাগ করে সুন্নাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, বহু মসজিদে লেখা থাকে লাল বাতি জ্বললে সুন্নাত পড়বেন না। উক্ত লেখা সুন্নাত বিরোধী হলেও সব ছালাতের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়, কিন্তু ফজরের সুন্নাতের ব্যাপারে তা অনুসরণ করা হয় না। কারণ এটা সুন্নাত তাই।
[1]. তালীমুস্-সালাত, পৃঃ ১৭৭। [2]. ছহীহ মুসলিম হা/১৬৭৮-১৬৭৯ ও ১৬৮৪, ১/২৪৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৫১৪ ও ১৫২১) ‘মুসাফিরদের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৩, ১/৯১ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬৩০, ২/৬৪ পৃঃ) ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৮; মিশকাত হা/১০৫৮, পৃঃ ৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৯১, ৩/৪৬ পৃঃ, ‘জামা‘আত ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ। [3]. বুখারী হা/৫৮৬, ১/৮৩ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৪, ৩/৩৭ পৃঃ। [4]. আবুদাঊদ হা/১২৬৭, ১/১৮০ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪৪, পৃঃ ৯৫ সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৭, ৩/৪০ পৃঃ, ‘ছালাতের নিষিদ্ধ সময়’ অনুচ্ছেদ।
ইক্বামত হওয়ার পর এবং রীতি মত জামা‘আত চলছে এমতাবস্থায় বহু মসজিদে ফজর ছালাতের সুন্নাত আদায় করতে দেখা যায়। মাওলানা মুহিউদ্দ্বীন খান লিখেছেন, ‘জামাআত শুরু হওয়ার পর কোন নফল নামায শুরু করা জায়েয নয়। তবে ফজরের সুন্নত এর ব্যতিক্রম’।[1] অথচ উক্ত দাবী সুন্নাত বিরোধী। কারণ যখন ফরয ছালাতের ইক্বামত হয়ে যায়, তখন সুন্নাত পড়া যাবে না।
عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ قَالَ إِذَا أُقِيْمَتِ الصَّلاَةُ فَلاَ صَلاَةَ إِلاَّ الْمَكْتُوْبَةُ.
আবু হুরায়রাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী (ছাঃ) বলেন, ‘যখন ছালাতের ইক্বামত দেওয়া হবে তখন ফরয ছালাত ব্যতীত আর কোন ছালাত নেই’।[2]
উল্লেখ্য যে, ‘ফজর ছালাতের পর সূর্য উঠা পর্যন্ত ছালাত নেই’[3] এই ব্যাপক ভিত্তিক হাদীছের আলোকে বলা হয়, ফজর ছালাতের সুন্নাত আগে পড়তে না পারলে, সূর্য উঠার পর পড়তে হবে। সেকারণ উক্ত আমল সমাজে চালু আছে। অথচ উক্ত হাদীছের উদ্দেশ্য অন্য যেকোন ছালাত। কারণ ফজরের পূর্বে সুন্নাত পড়তে না পারলে ছালাতের পরপরই পড়ে নেয়া যায়। উক্ত মর্মে স্পষ্ট ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।
عَنْ قَيْسِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ رَأَى رَسُوْلُ اللهِ رَجُلاً يُصَلِّى بَعْدَ صَلاَةِ الصُّبْحِ رَكْعَتَيْنِ فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صَلاَةُ الصُّبْحِ رَكْعَتَانِ فَقَالَ الرَّجُلُ إِنِّىْ لَمْ أَكُنْ صَلَّيْتُ الرَّكْعَتَيْنِ اللَّتَيْنِ قَبْلَهُمَا فَصَلَّيْتُهُمَا الآنَ فَسَكَتَ رَسُوْلُ اللهِ .
ক্বায়েস ইবনু ‘আমর (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) একদা ফজরের ছালাতের পর এক ব্যক্তিকে দুই রাক‘আত ছালাত আদায় করতে দেখলেন। তখন তিনি বললেন, ফজরের ছালাত দুই রাক‘আত। তখন ঐ ব্যক্তি বলল, আমি ফজরের পূর্বের দুই রাক‘আত আদায় করিনি। তাই এখন সেই দুই রাক‘আত আদায় করলাম। অতঃপর রাসূল (ছাঃ) চুপ থাকলেন।[4]
অতএব প্রচলিত অভ্যাস পরিত্যাগ করে সুন্নাতকে প্রাধান্য দিতে হবে। উল্লেখ্য যে, বহু মসজিদে লেখা থাকে লাল বাতি জ্বললে সুন্নাত পড়বেন না। উক্ত লেখা সুন্নাত বিরোধী হলেও সব ছালাতের ক্ষেত্রে অনুসরণ করা হয়, কিন্তু ফজরের সুন্নাতের ব্যাপারে তা অনুসরণ করা হয় না। কারণ এটা সুন্নাত তাই।
[1]. তালীমুস্-সালাত, পৃঃ ১৭৭। [2]. ছহীহ মুসলিম হা/১৬৭৮-১৬৭৯ ও ১৬৮৪, ১/২৪৭ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৫১৪ ও ১৫২১) ‘মুসাফিরদের ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯; ছহীহ বুখারী হা/৬৬৩, ১/৯১ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬৩০, ২/৬৪ পৃঃ) ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৩৮; মিশকাত হা/১০৫৮, পৃঃ ৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৯১, ৩/৪৬ পৃঃ, ‘জামা‘আত ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ। [3]. বুখারী হা/৫৮৬, ১/৮৩ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৪, ৩/৩৭ পৃঃ। [4]. আবুদাঊদ হা/১২৬৭, ১/১৮০ পৃঃ; মিশকাত হা/১০৪৪, পৃঃ ৯৫ সনদ ছহীহ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৯৭৭, ৩/৪০ পৃঃ, ‘ছালাতের নিষিদ্ধ সময়’ অনুচ্ছেদ।

Wednesday, 4 November 2015

নামাজ এ সূরা ফাতিহা

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার ছহীহ হাদীছ সমূহ

ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়ার ছহীহ হাদীছ সমূহ :

ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হয় না।

(1) عَنْ عُبَادَةَ بْنِ الصَّامِتِ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ  قَالَ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ.

(১) উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’।[1] ইমাম বুখারী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে নিম্নোক্ত অনুচ্ছেদ নির্ধারণ করেন, بَابُ وُجُوْبِ الْقِرَاءَةِ لِلْإِمَامِ وَالْمَأْمُوْمِ فِى الصَّلَوَاتِ كُلِّهَا فِي الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ وَمَا يُجْهَرُ فِيْهَا وَمَا يُخَافَتُ  ‘প্রত্যেক ছালাতে ইমাম-মুক্তাদী উভয়ের জন্য ক্বিরা‘আত (সূরা ফাতিহা) পড়া ওয়াজিব। মুক্বীম অবস্থায় হোক বা সফর অবস্থায় হোক, জেহরী ছালাতে হোক বা সের্রী ছালাতে হোক’।[2]

উল্লেখ্য যে, উক্ত হাদীছ পেশ করে ব্যাখ্যা দেয়া হয় যে, এই হাদীছ একাকী ছালাতের জন্য। অথচ উক্ত দাবী সঠিক নয়; বরং বিভ্রান্তিকর। দাবী যদি সঠিক হয়, তাহলে জামা‘আতে ছালাত আদায়ের সময় যোহর ও আছর ছালাতে এবং মাগরিবের শেষ রাক‘আতে ও এশার ছালাতের শেষ দুই রাক‘আতেও কি সূরা ফাতিহা পড়া যাবে না? কারণ মুক্তাদী তো একাকী নয়, ইমামের সাথে আছে? অথচ যোহর ও আছরের ছালাতে মুক্তাদীরা সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরাও পাঠ করতে পারবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে।[3]

তাছাড়া একাকী বলতে মৌলিক কোন ছালাত আছে কি? ফরয ছালাত তো জামা‘আতেই পড়তে হবে। এমনকি কোথাও দুইজন থাকলেও জামা‘আত করে ছালাত আদায় করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।[4] কখনো কখনো ফরয ছালাত একাকী পড়া হয়। তাহলে ঐ হাদীছটি কি শুধু কখনো কখনো একাকী ছালাতের জন্য প্রযোজ্য? না শুধু নফল ছালাতের জন্য? আর নফল ছালাত তো কেউ না পড়লেও পারে। তাহলে উক্ত হাদীছের ব্যাপারে এ ধরনের দাবী কিভাবে যথার্থ হতে পারে? এ জন্য ইমাম বুখারীসহ অন্যান্য প্রায় সকল মুহাদ্দিছ জামা‘আতে পড়ার পক্ষেই উক্ত হাদীছ পেশ করেছেন।[5] অতএব উক্ত হাদীছ জামা‘আত ও একাকী উভয় অবস্থার সাথেই সম্পৃক্ত।

(2) عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ عَنِ النَّبِىِّ  قَالَ مَنْ صَلَّى صَلاَةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهْىَ خِدَاجٌ ثَلاَثًا غَيْرُ تَمَامٍ فَقِيْلَ لأَبِىْ هُرَيْرَةَ إِنَّا نَكُوْنُ وَرَاءَ الإِمَامِ فَقَالَ اقْرَأْ بِهَا فِىْ نَفْسِكَ فَإِنِّىْ سَمِعْتُ رَسُوْلَ اللهِ  يَقُوْلُ قَالَ اللهُ تَعَالىَ قَسَمْتُ الصَّلَاةَ بَيْنِيْ وَبَيْنَ عَبْدِيْ نِصْفَيْنِ وَلِعَبدِىْ مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ الْعَبْدُ اَلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِيْنَ قَالَ اللهُ حَمِدَنِىْ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ الرَّحْمَنِ الرَّحِيْمِ  قَالَ اللهُ تَعَالى أََثْنَى عَلَىَّ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ مَالِكِ يَوْمِ الدِّيْنِ قَالَ مَجَّدَنِىْ عَبْدِىْ وَإِذَا قَالَ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِيْنُ قَالَ هَذَا بَيْنِيْ وَبَيْنَ عَبْدِيْ وَلِعَبْدِىْ مَا سَأَلَ فَإِذَا قَالَ اِهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيْمَ صِرَاطَ الَّذِيْنَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوْبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّيْنَ قَالَ هذَا لِعَبْدِىْ وَلِعَبْدِىْ مَا سَأَلَ.

(২) আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন ছালাত আদায় করল অথচ সূরা ফাতিহা পাঠ করল না, তার ছালাত অসম্পূর্ণ রয়ে গেল। এ কথাটি তিনি তিনবার বলেন। তখন আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞেস করা হল, আমরা যখন ইমামের পিছনে থাকি? উত্তরে তিনি বললেন, তুমি চুপে চুপে পড়। কেননা আমি রাসূল (ছাঃ)-কে বলতে শুনেছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেন, আমি ছালাতকে আমার মাঝে ও আমার বান্দার মাঝে দুই ভাগে ভাগ করেছি। আমার বান্দার জন্য সেই অংশ যা সে চাইবে। বান্দা যখন বলে, ‘আল-হামদুলিল্লা-হি রাবিবল ‘আলামীন’ (যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি জগৎ সমূহের প্রতিপালক)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমার প্রশংসা করল। বান্দা যখন বলে, ‘আর-রহমা-নির রহীম’ (যিনি করুণাময়, পরম দয়ালু)। তখন আল্লাহ বলেন, বান্দা আমার গুণগান করল। বান্দা যখন বলে, ‘মা-লিকি ইয়াওমিদ্দ্বীন’ (যিনি বিচার দিবসের মালিক) তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা আমাকে সম্মান প্রদর্শন করল। বান্দা যখন বলে, ইয়্যা-কানা‘বুদু ওয়া ইয়্যা-কানাসতাঈন (আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনার নিকটই সাহায্য প্রার্থনা করি)। তখন আল্লাহ বলেন, এটা আমার ও আমার বান্দার মাঝে আধাআধি ভাগ (অর্থাৎ ইবাদত আমার জন্য আর প্রার্থনা বান্দার জন্য) এবং আমার বান্দার জন্য সেই অংশ রয়েছে, যা সে চাইবে। যখন বান্দা বলে, ‘ইহদিনাছ ছিরাত্বাল মুস্তাক্বীম, ছিরা-ত্বল্লাযীনা আন‘আমতা ‘আলায়হিম, গয়রিল মাগযূবি ‘আলায়হিম ওয়ালায য-ল্লীন (আপনি আমাদের সরল পথ প্রদর্শন করুন। তাদের পথ যাদের উপর আপনি রহম করেছেন। তাদের পথ নয় যারা অভিশপ্ত এবং পথভ্রষ্ট)। তখন আল্লাহ বলেন, আমার বান্দা যা চেয়েছে তা তার জন্য’।[6] (আমীন)।

উক্ত হাদীছ থেকে প্রমাণিত হয় যে, ইমাম-মুক্তাদী সকলেই সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সূরা ফাতিহা শুধু ইমামের জন্য নয়। কারণ আল্লাহর বান্দা শুধু ইমাম নন, মুক্তাদীও আল্লাহর বান্দা। আর আবু হুরায়রাহ (রাঃ) সেটা বুঝানোর জন্যই উক্ত হাদীছ পেশ করেছেন। অতএব ইমামের পিছনে মুক্তাদীও সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।

(3) عَن رِفَاعَةَ بْنِ رَافعٍ قَالَ جَاءَ رَجُلٌ فَصَلَّى فِي الْمَسْجِدِ ثُمَّ جَاءَ فَسَلَّمَ عَلَى النَّبِيِّ  فَقَالَ النَّبِيُّ  أَعِدْ صَلَاتَكَ فَإِنَّكَ لَمْ تُصَلِّ فَقَالَ عَلِّمْنِىْ يَا رَسُوْلَ اللهِ كَيْفَ أُصَلِّي؟ قَالَ إِذَا تَوَجَّهَتَ إِلَى الْقِبْلَةِ فَكَبِّرْ ثُمَّ اقْرَأْ بِأُمِّ الْقُرْآنِ وَمَا شَاءَ اللهُ أَنْ تَقْرَأَ..

(৩) রিফা‘আ বিন রাফে‘ (রাঃ) বলেন, জনৈক ব্যক্তি মসজিদে আসল এবং ছালাত আদায় করল। অতঃপর রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিল। তিনি তাকে বললেন, তুমি ছালাত ফিরিয়ে পড়। নিশ্চয় তুমি ছালাত আদায় করনি। তখন লোকটি বলল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আমাকে ছালাত শিক্ষা দিন। তিনি বললেন, যখন তুমি ক্বিবলামুখী হবে তখন তাকবীর দিবে। অতঃপর সূরা ফাতিহা পড়বে এবং আল্লাহর ইচ্ছায় আরো কিছু অংশ পাঠ করবে..। [7]

[1]. ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮, হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ৭৬৬, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ। [2]. ছহীহ বুখারী ১/১০৪ পৃঃ, হা/৭৫৬-এর অনুচ্ছেদ দ্রঃ। [3]. ইবনু মাজাহ হা/৮৪৩, পৃঃ ৬১; সনদ ছহীহ, আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৬। [4]. বুখারী হা/৬৫৮, ১/৯০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৬২৫, ২/৬২ পৃঃ); মুসলিম হা/১৫৭০, ১/২৩৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/১৪০৭); তিরমিযী হা/২০৫; মিশকাত হা/৬৮২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৬৩১, ২/২০৭ পৃঃ, ‘আযানের সংশ্লিষ্ট’ অনুচ্ছেদ। [5]. ইবনু মাজাহ হা/৮৩৭। [6]. ছহীহ মুসলিম হা/৯০৪, ১/১৬৯-৭০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭৬২), ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১১; মিশকাত হা/৮২৩, পৃঃ ৭৮-৭৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৬, মিশকাত ২/২৭২ পৃঃ। [7]. আবুদাঊদ হা/৮৫৯, ১/১২৫ পৃঃ; মিশকাত হা/৮০৪, পৃঃ ৭৬; ছহীহ ইবনে হিববান হা/১৭৮৪, সনদ ছহীহ।

Tuesday, 7 July 2015

নামাজ

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/70515402

Saturday, 27 June 2015

pir puja

পীর পূজা
অতিত ও বর্তমানকালের মুশরিকদের অবস্থাঃ
==================================
যারা পীরপূজা ও কবর মাযার পূজা করে তারা বলে থাকে যে মুশরিকরা তো মূর্তি পূজা করত। আমরা তো মূর্তি পূজা করি না। আমরা আমাদের পীর দরবেশ দের মাযার জিয়ারত করে থাকি তাদের ইবাদাত বা পূজা করি না। তাদের অসিলা দিয়ে আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেন আল্লাহ তাদের সম্মানের দিকে তাকিয়ে আমাদের দোয়া আল্লাহ কবুল করেন। এটাতো কোনো ইবাদাত নয়। (মুশরিক দের ভাষ্য)
আর এদের উদ্দেশ্যে আমরা বলব,মৃত ব্যাক্তির কাছে সাহায্য ও বরকত কামনা করা সত্যিকারার্থে তার কাছে দোয়া করার শামিল।যেমনঃ ইসলাম পূর্ব জাহেলীযুগে পৌত্তলিকরা মূর্তির কাছে দোয়া বা প্রার্থনা করত। তাই জাহেলী যুগের মূর্তিপূজা আর বর্তমান যুগেত কবর পূজার মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। এ দুটো কাজই লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিক দিয়ে এক ও অভিন্ন যখন জাহেলী যুগের মুশরিকদের বলা হুল তোমরা কেন মূর্তি গুলোর ইবাদাত করো? তারাতো কিছু করার ক্ষমতা রাখে না। তখন তারা ইবাদাতের বিষয়টি অস্বীকার করত এবং বলতঃ


pir v shi hadees



 . . . [২০০০ সাল]ঃ একজন খৃষ্টান ডাক্তার পৃথিবীর বুকে ঘোষণা দিল,"কুরআন মিথ্যা,ইসলাম মিথ্যা," সাথে তার প্রমাণ দিলো আর কুরআন থেকে ৩০টি ভুল বের করল। [২০০১ সাল]ঃ কোনো মুসলিম এলো না তার জবাব দেয়ার জন্য। [২০০২ সাল]ঃ সৌদি আরবের কোনো মুফতী,আলেম শায়েখ এলো না তার জবাব দিতে। [২০০৩ সাল]ঃ দুবাই থেকেও কোনো পীর উলামা এলো না তার জবাব দিতে। [২০০৪ সাল]ঃ অনলাইনেও এই নিয়ে কোনো মুসলিম জবাব দিলো না। [২০০৫ সাল]ঃ মারা গেলেন আহমেদ দিদাত। [২০০৬ সাল]ঃ যে একটা আশা ছিলো সেই তো মরে গেলো(গুজব) [২০০৭ সাল]ঃ এই নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে সেই খ্রিষ্টান ডাক্তারের সব অপবাদ নিয়ে ইসলামের বিরুদ্ধে বই লেখা শুরু হলো। ইসলাম নিয়ে তামাশা বাড়তেই থাকল। [২০০৮ সাল]ঃ ভারত। যে দেশে প্রত্যেক ঘণ্টায় ২৬ জন নারী ধর্ষিত হয়।যে দেশে মুসলিমদের কোনো সম্মান নেই।বাবরি মসজিদ ধ্বংস ইত্যাদি ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনা। সে দেশ থেকে আসলো এক চিকন শ্যামলা বর্ণের লোক। পেশায় একজন ডঃ। এই তার পরিচয়। লোকটি গেলো জনৈক খ্রিষ্টানের কাছে। গিয়ে হলো ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডের বিতর্ক। কুরআনের বিরুদ্ধে সব মিথ্যা অপবাদের জবাব তো দিলোই সাথে বাইবেল থেকে ১০০টারও বেশি ভুল ধরিয়ে দিলো।আর শুরু করলেন এক নবদিগন্তের অভিযাত্রা। লোকটি আর কেউ নয়,,,ডঃ জাকির নায়েক।আর আজ কিছু মুসলিম এসেছে তার ব্যবচ্ছেদ করতে। প্রশ্ন একটাই,"তখন আপনারা কই ছিলেন?" সে একজন মানুষ। কোন দিক থেকে তার ভুল হতেই পারে। তার পরিচালনায় একটি টিভি চ্যানেল আছে। সেই ইসলামিক টিভিতে কোন আশালিন কিছু প্রচার করে না। এমন কি কোন বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় না। আর কত করবে একজন মানুষ? এখানে আমাদের অবস্থান কোথায়? .

Monday, 22 June 2015

Sunday, 21 June 2015

ইসলামী লাইফ বাংলা

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/68291770

Wednesday, 17 June 2015

টাইম্ পাশ কর ইসলামিক লাইফ গড়

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67777044

মসজিদ ও কবর

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67776902

Monday, 15 June 2015

Media use for islamic dawning

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67350732

আমি মসলিম এটা আমার কাবা পীর কে না বলন .

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67345726

Sunday, 14 June 2015

আল্লাহ

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67220082

Saturday, 13 June 2015

আল্লাহ এক

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67086611
ইসলামিক লাইফ বাংলা 

এটার নাম কি

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67073660

ইসলামিক লাইফ বাংলা

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67073255

ফ়েসবুকে ইসলাম

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67073162

Friday, 12 June 2015

সহী আলেম

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/67064264

Thursday, 11 June 2015

দুবাই মতিও রহমান মাদানী

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66887436

কালেমার অর্থ কে কে জানেন

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66808300

আমি রাজি আপনি ? নামজ এর জনন . .

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66807558

Wednesday, 10 June 2015

সূরা পালাক

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66682069

নবীর ওম্ত

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66681899

সদকা

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66681743

English to islam win islam

outsourcing Bangladesh would like to share something with you on tsū. View post: https://www.tsu.co/bangla1/66679738

Tuesday, 9 June 2015

Monday, 8 June 2015

Quran

quran 22 কুরআন শিকতে 22 প্কারের এলেম লাগে ওলী: https://youtu.be/wNF9qN_uAKY

Saturday, 6 June 2015

Taffajol Gazi Abdul Hannan তোফাজ্জল

Islamic Life bangla

islamic life bangla সালাম

আল্লাহ তা’আলা বলেন,
“হে মুমিনগন, তোমরা নিজেদের
গৃহ ছাড়া অন্য কারও গৃহে প্রবেশ
করো না, যতক্ষণ না তোমরা অনুমতি
নেবে এবং গৃহবাসীদেরকে
সালাম দিবে।”
(সূরা আন-নূরঃ ২৭)

আমার পছন্দ

Sunday, 31 May 2015

বেদআত

শবেবরাত  বেদআত

পীর কেন জেল খানায়

আহলে হাদীছ বাঃলাদেশ
আমি  মুসলিম চূর   বীর
মরন কে  করিনা ভয.
হক বলা আমর রীতি.

শিরক

পীর পূজা.দিবস পালন করা

ছরমুনাই পীর কেন জেল খানা তার সিডি ফেসবুকে ফ্রী Dawnload করুন

ছরমুনাই পীর কেন জেল খানা তার সিডি ফেসবুকে ফ্রী Dawnload করুন
6 টা সিডি বের হল

আহলে হাদীস

>>>> আহলে হাদীসকুরআন সহীহ সুন্নাহ আলোকে বিশদ পর্যালোচনা <<<<
বর্তমান মুসলিম নামধারী দলরা সূরা হাজ্জ এর ৭৮ সূরা হা-মীম-সিজদার ৩৩নং আয়াত দিয়ে যে আক্ষরিক ভাবে নামধারী মুসলিম হওয়ার দাবী করে তার যথোপযুক্ত দলীল প্রদান জবাব খন্ডনঃ লেখাটা ১৩ পৃষ্ঠার হলেও একটু খেয়াল করে ধৈর্য্য সহকারে সবার পড়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে আমি আরও গবেষনা করছি। নব্য মুসলিম নামধারী দলের প্রত্যেকটি জবাব প্রণয়ন করছি। সামনে ধীরে ধীরে তা পোষ্ট করা হবে ইনশাল্লাহ
>>>> আহলে হাদীস এর অর্থ <<<<
আহলে হাদীস আরবী ভাষা আহলুল হাদীস থেকে এসেছে আহলুল শব্দের অর্থ বংশধর বা অনুসারী।আর হাদীস অর্থ কথা বা বানী। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ রাসুলের কথা বা বানী কে হাদীস বলা হয়। আল্লাহ নিজে কোরআন মাজীদে তার কথা কে হাদীস বলেছেন। হাদীস শব্দ দিয়ে আল্লাহ কুরআনকেও বুঝিয়েছেন। হাদীস (حَدِيث) এর শাব্দিক অর্থ: কথা, বাণী, কথাবার্তা, আলোচনা, কথিকা, সংবাদ, খবর, কাহিনী। এর বহুবচন أَحَادِيث হাদীস (حَدِيث) শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে নতুন, নবীন, আধুনিক, নব্য, সাম্প্রতিক। হাদিসের পারিভাষিক অর্থ: রসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কর্ম, সম্মতি, চারিত্রিক গুণবলীকে হাদিস বলা হয়
আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- আর (হে নবী) অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। আল-কালাম, ৬৮/৪। আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে তাই বলেছেনঃ- আল্লাহ অবর্তীণ করেছেন সর্বোত্তম (হাদীস) বাণী সম্বলিত সামঞ্জস্য পূর্ণ একটি কিতাব যা পুনরাবৃত্তি হয়, যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে ওঠে তারপর তাদের দেহ মন আল্লাহর স্মরণে প্রতি বিনম্র হয়ে যায়; এটিই আল্লাহর হেদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হেদায়াত দান করেন আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নেই। সূরা আয-যুমার, ৩৯/২৩। অতএব, কুরআন মনগড়া হাদীস নয়। প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ-
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لأولِي الألْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
অবশ্যই তাদের বৃত্তান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য শিক্ষা, এটা (কুরআন) কোন মনগড়া (হাদীস) বাণী নয়, বরং পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ আর হেদায়াত রহমত ঐসব লোকদের জন্য যারা বিশ্বাস স্থাপন করে। ইউসুফ, ১২/১১১
অধিকন্তু আরও বলা যায় যে, যারা হাদীস তথা কুরআনকে মিথ্যা মনে করবে তাদেরকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন। প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন: فَذَرْنِي وَمَنْ يُكَذِّبُ بِهَذَا الْحَدِيثِ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِنْ حَيْثُ لا يَعْلَمُونَ কাজেই আমাকে ছেড়ে দাও এবং যারা এই (হাদীসকে) বাণীকে মিথ্যারোপ করবে; তাদেরকে আমি ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতেও পারবে না। আল-কালাম, ৬৮/৪৪। সুতারাং, উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, হাদীস বললে, আল্লাহর বাণীকুরআন রসূলের বাণীহাদীসউভয়েই বুঝায়। আর আমাদেরকে কুরআন সহীহ হাদীস অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আমরা বলতে পারি যে, আহলে হাদীস মানে কি? আহলে হাদিস বা আহলুল হাদিস শব্দের অর্থ হাদিসের ধারক, হাদিসের মতাবলম্বী, হাদীসের অনুসারী। যারা কুরআন সহীহ হাদীসের একনিষ্ট অনুসারী তারাই হল আহলে হাদীস বা আহলুল হাদীস। আহলুল হাদীস এর অর্থ: সুন্নাহর অপর নাম হাদীস
>>>> আহলে হাদীস নাম কেন <<<<
সাহাবা তাবেঈন কতৃক পৃথিবীর যে সকল প্রান্তে মুসলিম উপনিবেশ সুমহ স্হাপিত হয়েছিল তার অধিবাসী সকলেই আহলে হাদীস ছিলেন। ইসলাম আহলে হাদীস তরিকার নামান্তর মাত্র ছিল বলে স্বতন্ত্রভাবে তখন আহলে হাদীস রূপে অভিহিত হবার কোন প্রয়োজন ছিল না। বিশেষতঃহিন্দের সকল মুসলিম উপনিবেশে ইসলামের প্রথম আবির্ভাবের সময় হতে ৩য় শতাব্দী পর্যন্ত আহলে হাদীস গনেরই পূর্ণ প্রভাব ছিল। পরবর্তীকালে ইসলাম জগতে ফিরকাবন্দি প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্ব পর্যন্ত মুসলিমগনের মাযহাব ছিল আহলে হাদীস
>>>> আহলে হাদীসের সংজ্ঞা <<<<
অধুনা মুসলিম বিশ্বের একজন সফল শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা অনুষদের আস সুন্নাহ বিভাগের প্রধান . রাবী বিন হাদী উমাইর আল মাদখালী। তিনি তার প্রসিদ্ধ পুস্তিকা মাকানাতু আহলিল হাদীস - প্রশ্ন রাখছেন, আহলুল হাদীস কারা? এবং পরপরই নিজে জবাব দিচ্ছেন, যার অর্থ হচ্ছে- ‘আহলে হাদীস তারা, যারা আল কিতাব সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ এবং দুটির একনিষ্ঠ নিরবচ্ছিন্ন অনুসরণে এবং আকায়েদ ইবাদত, ব্যবহার বিধি চারিত্রিক আচার আচরণ, সমাজ ব্যবস্থা শাসনবিধি যাই হোক না কেন সকল ক্ষেত্রে সকল কথা সকল পথনির্দেশের চাইতে আল-কুরআন সহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহকে প্রাধান্য অগ্রাধিকার দিয়ে সাহাবা তাবেঈনদের পথ ধরে চলে। যারা আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি যা অবর্তীণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি যেসব প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন দীনের সেই মৌল নীতি এবং তার শাখা প্রশাখায় দৃঢ়পদ সুপ্রতিষ্ঠিত, এবং যারা (মুক্তি সাফল্যের) এই পথে লোকদের আহ্বান জ্ঞাপনে সতত প্রস্তুত, সচেষ্ট সংকল্পবদ্ধ, যারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেখে যাওয়া ইলমের ধারক বাহক, যারা বাড়াবাড়ি কারী চরমপন্থিদের কুরআন হাদীসের ভাষা ভাবগত অর্থের পরিবর্তন প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় এবং বাহিল পন্থীদের নব নব সংযোজন জাহিলদের ভুল ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে
আহলে হাদীস তো তারাই যারা সর্বকালে সর্ব দেশে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সর্তক দৃষ্টি রাখে সেই সব ফিরকার প্রতি যারা ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছ যেমন জাহমিয়া, মুতাযিলা, খারেজী, রাফেযী, মুরজিঈ, কাদারী এবং প্রত্যেক সেই দল যারা আল্লাহর প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলেছে আল্লাহর রাহে কর্তব্য পালনে কোন নিন্দুকের নিন্দা তাদেরকে প্রভাবিত করে না।তারাই হচ্ছে সেই দল যাদের প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অমর বাণীতে:
আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দলের অস্তিত্ব চিরকাল বিদ্যমান থাকবে যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং যারাই তাদের বিরুদ্ধাচরণ বা তাদেরকে বিড়ম্বিত লাঞ্ছিত করতে তৎপর হোক না কেন প্রলয়কাল পর্যন্ত তাদের কোন অনিষ্টই করতে পারবে না।” (সহীহ মুসলিম /১৫২৩)
তারাই তো সফলকাম মুক্তি প্রাপ্তদের দল যারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত পথের উপর যে মত পথের উপর কায়েম ছিলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীবৃন্দ, যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং চিহ্নিত করেছেন তাঁর এই বাণীর মাধ্যমেএই উম্মত তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্তি হবে আর সাবই জাহান্নামে শুধু একটি মাত্র দল ব্যতিরেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোনটি সেই ভাগ্যবান দল? তিনি বললেন, সেই দল যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত পথের যাতে আমি এবং আমার সাহাবা কায়েম রয়েছি।” (তিরমিযী, /৪২০, ইবনে মাজাহ /-)
তিনি আরও বলেন, “আমি অতিরঞ্জিত কোন বক্তব্য উপস্থাপনা বা নিছক কোন দাবী পেশ করছি না। বরং আমরা তাই বলছি যা সত্য, যা বাস্তব। আল কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্টনাস দাবীর সত্যতার সাক্ষ্য দান করছে, ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করছে আর এর সাক্ষী হচ্ছে হচ্ছে স্বয়ং তাদের (নিজেদের) উক্তি, জীবনধারা রচিত গ্রন্থাবলী।” (তথ্যসূত্রঃ মাকানাতু আহলিল হাদীস, পৃষ্ঠা , , অভিভাষণ-প্রফেসর . মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহ) ২২৪ ২২৫ পৃষ্ঠা)
. ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ)- কেক্বিয়ামত পর্যন্ত হক - এর উপরে একটি দল টিকে থাকবেমর্মে বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন,
ﻫُﻢْ ﺇِﻥْ ﻟَّﻢْ ﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻓَﻼَ ﺃَﺩْﺭِﻯْ ﻣَﻦْ
তারা যদিআহলেহাদীসনা হয়। তাহলে আমি জানি না তারা কারা’? [তিরমিযী হা / ২১৯২; মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ পৃঃ, হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা / ২৭০; শারফু আসহাবিল হাদীস পৃঃ নং: ১৫।]
. শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী (৪৯১-৫৬১ হিঃ) বলেন, ‘অতঃপর ফির্কা নাজিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্য কোন নাম নেই একটি নাম ব্যতীত। সেটি আহলুল হাদীছ [আব্দুল ক্বাদির জীলানী, কিতাবুল গুনিয়াহ ওরফে গুনিয়াতুত ত্বালেবীন (মিসর: ১৩৪৬ হিঃ) /৯০ পৃষ্ঠা।]
>>>> আহলে হাদীসদের বৈশিষ্ট্য <<<<
১। একমাত্র অনুসরনীয় ইমাম নেতা হচ্ছেন হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)
২। সকল প্রকার সমস্যার সমাধানে কোরআন সহী হাদীস অনুসারে করতে হবে
৩। কোরআন সহী হাদীসে না পেলে সাহাবাগনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে
৪। সাহাবাগনের সিদ্ধান্তে না থাকলে সে সকল বিষয়ে কোরআন হাদীস কে ভিত্তি করে আলেমগন ইজতিহাদ (শরীয়ত গবেষণা) করবেন, কোরআন বা সহী হাদীস বিরোধী ইজতিহাদ হলে চলবে না
৫। কোনভাবেই ধর্মীয় ব্যাপারে দলিল ছাড়া কারো উক্তির অনুসরন করা চলবে না
>>>> আহলে হাদীস কারা <<<

যারা কোরআন সহী হাদিসকে সরাসরি অনুসরন করে তারাই আহলে হাদিস।এই আহলে হাদীসদের পরিচয় জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে সাহাবায়ে কিরাম তাবেঈন,তাবে তাবেঈন মাযহাবের ইমাম গন আহলে হাদীস পথ মতের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। আবু হানীফা (রহঃ), ইমাম মালেক (রহঃ), ইমাম শাফেয়ী (রহঃ), ইমাম আহমাদ (রহঃ) মাযহাব সৃষ্টির আগে তথা ইসলামের স্বর্ন যুগে (চার) মাযহাব ছিল না। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)এর বক্তব্যের মাধ্যমে এর সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, “যদি দলীল প্রকাশ হযে যায় তাহলে তোমরা তদানুযায়ী কথা বলবে। (তথ্যসূত্র: রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং:-৪৭)তখনকার মুসলিমগন কোরআন সুন্নাহর উপর কায়েম ছিলেন বলে তারা আহলে হাদীস নামে
প্রছারে আহলে হাদিস বাংলাদেশ https://www.facebook.com/mobarakseo