Sunday, 31 May 2015

বেদআত

শবেবরাত  বেদআত

পীর কেন জেল খানায়

আহলে হাদীছ বাঃলাদেশ
আমি  মুসলিম চূর   বীর
মরন কে  করিনা ভয.
হক বলা আমর রীতি.

শিরক

পীর পূজা.দিবস পালন করা

ছরমুনাই পীর কেন জেল খানা তার সিডি ফেসবুকে ফ্রী Dawnload করুন

ছরমুনাই পীর কেন জেল খানা তার সিডি ফেসবুকে ফ্রী Dawnload করুন
6 টা সিডি বের হল

আহলে হাদীস

>>>> আহলে হাদীসকুরআন সহীহ সুন্নাহ আলোকে বিশদ পর্যালোচনা <<<<
বর্তমান মুসলিম নামধারী দলরা সূরা হাজ্জ এর ৭৮ সূরা হা-মীম-সিজদার ৩৩নং আয়াত দিয়ে যে আক্ষরিক ভাবে নামধারী মুসলিম হওয়ার দাবী করে তার যথোপযুক্ত দলীল প্রদান জবাব খন্ডনঃ লেখাটা ১৩ পৃষ্ঠার হলেও একটু খেয়াল করে ধৈর্য্য সহকারে সবার পড়া উচিত। এই বিষয় নিয়ে আমি আরও গবেষনা করছি। নব্য মুসলিম নামধারী দলের প্রত্যেকটি জবাব প্রণয়ন করছি। সামনে ধীরে ধীরে তা পোষ্ট করা হবে ইনশাল্লাহ
>>>> আহলে হাদীস এর অর্থ <<<<
আহলে হাদীস আরবী ভাষা আহলুল হাদীস থেকে এসেছে আহলুল শব্দের অর্থ বংশধর বা অনুসারী।আর হাদীস অর্থ কথা বা বানী। শরীয়তের পরিভাষায় আল্লাহ রাসুলের কথা বা বানী কে হাদীস বলা হয়। আল্লাহ নিজে কোরআন মাজীদে তার কথা কে হাদীস বলেছেন। হাদীস শব্দ দিয়ে আল্লাহ কুরআনকেও বুঝিয়েছেন। হাদীস (حَدِيث) এর শাব্দিক অর্থ: কথা, বাণী, কথাবার্তা, আলোচনা, কথিকা, সংবাদ, খবর, কাহিনী। এর বহুবচন أَحَادِيث হাদীস (حَدِيث) শব্দের আরেকটি অর্থ হচ্ছে নতুন, নবীন, আধুনিক, নব্য, সাম্প্রতিক। হাদিসের পারিভাষিক অর্থ: রসূল সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কর্ম, সম্মতি, চারিত্রিক গুণবলীকে হাদিস বলা হয়
আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন- আর (হে নবী) অবশ্যই আপনি মহান চরিত্রের অধিকারী। আল-কালাম, ৬৮/৪। আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে তাই বলেছেনঃ- আল্লাহ অবর্তীণ করেছেন সর্বোত্তম (হাদীস) বাণী সম্বলিত সামঞ্জস্য পূর্ণ একটি কিতাব যা পুনরাবৃত্তি হয়, যারা তাদের রবকে ভয় করে তাদের গা এতে শিউরে ওঠে তারপর তাদের দেহ মন আল্লাহর স্মরণে প্রতি বিনম্র হয়ে যায়; এটিই আল্লাহর হেদায়াত, তিনি যাকে চান তাকে এর দ্বারা হেদায়াত দান করেন আর আল্লাহ যাকে পথভ্রষ্ট করেন তার জন্য কোন পথ প্রদর্শক নেই। সূরা আয-যুমার, ৩৯/২৩। অতএব, কুরআন মনগড়া হাদীস নয়। প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ-
لَقَدْ كَانَ فِي قَصَصِهِمْ عِبْرَةٌ لأولِي الألْبَابِ مَا كَانَ حَدِيثًا يُفْتَرَى وَلَكِنْ تَصْدِيقَ الَّذِي بَيْنَ يَدَيْهِ وَتَفْصِيلَ كُلِّ شَيْءٍ وَهُدًى وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ
অবশ্যই তাদের বৃত্তান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য শিক্ষা, এটা (কুরআন) কোন মনগড়া (হাদীস) বাণী নয়, বরং পূর্ববর্তী কিতাবের সত্যায়নকারী এবং প্রতিটি বিষয়ের বিস্তারিত বিবরণ আর হেদায়াত রহমত ঐসব লোকদের জন্য যারা বিশ্বাস স্থাপন করে। ইউসুফ, ১২/১১১
অধিকন্তু আরও বলা যায় যে, যারা হাদীস তথা কুরআনকে মিথ্যা মনে করবে তাদেরকে আল্লাহ শাস্তি দিবেন। প্রসঙ্গে আল্লাহ সুবহানুতালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন: فَذَرْنِي وَمَنْ يُكَذِّبُ بِهَذَا الْحَدِيثِ سَنَسْتَدْرِجُهُمْ مِنْ حَيْثُ لا يَعْلَمُونَ কাজেই আমাকে ছেড়ে দাও এবং যারা এই (হাদীসকে) বাণীকে মিথ্যারোপ করবে; তাদেরকে আমি ধীরে ধীরে এমনভাবে পাকড়াও করব যে, তারা জানতেও পারবে না। আল-কালাম, ৬৮/৪৪। সুতারাং, উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, হাদীস বললে, আল্লাহর বাণীকুরআন রসূলের বাণীহাদীসউভয়েই বুঝায়। আর আমাদেরকে কুরআন সহীহ হাদীস অনুসরণ করতে হবে। তাহলে আমরা বলতে পারি যে, আহলে হাদীস মানে কি? আহলে হাদিস বা আহলুল হাদিস শব্দের অর্থ হাদিসের ধারক, হাদিসের মতাবলম্বী, হাদীসের অনুসারী। যারা কুরআন সহীহ হাদীসের একনিষ্ট অনুসারী তারাই হল আহলে হাদীস বা আহলুল হাদীস। আহলুল হাদীস এর অর্থ: সুন্নাহর অপর নাম হাদীস
>>>> আহলে হাদীস নাম কেন <<<<
সাহাবা তাবেঈন কতৃক পৃথিবীর যে সকল প্রান্তে মুসলিম উপনিবেশ সুমহ স্হাপিত হয়েছিল তার অধিবাসী সকলেই আহলে হাদীস ছিলেন। ইসলাম আহলে হাদীস তরিকার নামান্তর মাত্র ছিল বলে স্বতন্ত্রভাবে তখন আহলে হাদীস রূপে অভিহিত হবার কোন প্রয়োজন ছিল না। বিশেষতঃহিন্দের সকল মুসলিম উপনিবেশে ইসলামের প্রথম আবির্ভাবের সময় হতে ৩য় শতাব্দী পর্যন্ত আহলে হাদীস গনেরই পূর্ণ প্রভাব ছিল। পরবর্তীকালে ইসলাম জগতে ফিরকাবন্দি প্রতিষ্ঠিত হবার পূর্ব পর্যন্ত মুসলিমগনের মাযহাব ছিল আহলে হাদীস
>>>> আহলে হাদীসের সংজ্ঞা <<<<
অধুনা মুসলিম বিশ্বের একজন সফল শিক্ষক বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা অনুষদের আস সুন্নাহ বিভাগের প্রধান . রাবী বিন হাদী উমাইর আল মাদখালী। তিনি তার প্রসিদ্ধ পুস্তিকা মাকানাতু আহলিল হাদীস - প্রশ্ন রাখছেন, আহলুল হাদীস কারা? এবং পরপরই নিজে জবাব দিচ্ছেন, যার অর্থ হচ্ছে- ‘আহলে হাদীস তারা, যারা আল কিতাব সুন্নাহকে দৃঢ়ভাবে ধারণ এবং দুটির একনিষ্ঠ নিরবচ্ছিন্ন অনুসরণে এবং আকায়েদ ইবাদত, ব্যবহার বিধি চারিত্রিক আচার আচরণ, সমাজ ব্যবস্থা শাসনবিধি যাই হোক না কেন সকল ক্ষেত্রে সকল কথা সকল পথনির্দেশের চাইতে আল-কুরআন সহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহকে প্রাধান্য অগ্রাধিকার দিয়ে সাহাবা তাবেঈনদের পথ ধরে চলে। যারা আল্লাহ তাঁর রাসূল মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি যা অবর্তীণ করেছেন এবং তাঁর প্রতি যেসব প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন দীনের সেই মৌল নীতি এবং তার শাখা প্রশাখায় দৃঢ়পদ সুপ্রতিষ্ঠিত, এবং যারা (মুক্তি সাফল্যের) এই পথে লোকদের আহ্বান জ্ঞাপনে সতত প্রস্তুত, সচেষ্ট সংকল্পবদ্ধ, যারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রেখে যাওয়া ইলমের ধারক বাহক, যারা বাড়াবাড়ি কারী চরমপন্থিদের কুরআন হাদীসের ভাষা ভাবগত অর্থের পরিবর্তন প্রচেষ্টাকে নস্যাৎ করে দেয় এবং বাহিল পন্থীদের নব নব সংযোজন জাহিলদের ভুল ব্যাখ্যাকে প্রত্যাখ্যান করে
আহলে হাদীস তো তারাই যারা সর্বকালে সর্ব দেশে অতন্দ্র প্রহরীর ন্যায় সর্তক দৃষ্টি রাখে সেই সব ফিরকার প্রতি যারা ইসলামের পথ থেকে বিচ্যুত হয়েছ যেমন জাহমিয়া, মুতাযিলা, খারেজী, রাফেযী, মুরজিঈ, কাদারী এবং প্রত্যেক সেই দল যারা আল্লাহর প্রদর্শিত পথ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করে চলেছে আল্লাহর রাহে কর্তব্য পালনে কোন নিন্দুকের নিন্দা তাদেরকে প্রভাবিত করে না।তারাই হচ্ছে সেই দল যাদের প্রশংসা এবং গুণকীর্তন করেছেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার অমর বাণীতে:
আমার উম্মতের মধ্যে এমন একটি দলের অস্তিত্ব চিরকাল বিদ্যমান থাকবে যারা সত্যের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং যারাই তাদের বিরুদ্ধাচরণ বা তাদেরকে বিড়ম্বিত লাঞ্ছিত করতে তৎপর হোক না কেন প্রলয়কাল পর্যন্ত তাদের কোন অনিষ্টই করতে পারবে না।” (সহীহ মুসলিম /১৫২৩)
তারাই তো সফলকাম মুক্তি প্রাপ্তদের দল যারা দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত পথের উপর যে মত পথের উপর কায়েম ছিলেন স্বয়ং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তাঁর সাহাবীবৃন্দ, যাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন এবং চিহ্নিত করেছেন তাঁর এই বাণীর মাধ্যমেএই উম্মত তিয়াত্তর ফিরকায় বিভক্তি হবে আর সাবই জাহান্নামে শুধু একটি মাত্র দল ব্যতিরেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হল, ইয়া রাসূলাল্লাহ! কোনটি সেই ভাগ্যবান দল? তিনি বললেন, সেই দল যারা প্রতিষ্ঠিত থাকবে সেই মত পথের যাতে আমি এবং আমার সাহাবা কায়েম রয়েছি।” (তিরমিযী, /৪২০, ইবনে মাজাহ /-)
তিনি আরও বলেন, “আমি অতিরঞ্জিত কোন বক্তব্য উপস্থাপনা বা নিছক কোন দাবী পেশ করছি না। বরং আমরা তাই বলছি যা সত্য, যা বাস্তব। আল কুরআন সুন্নাহর সুস্পষ্টনাস দাবীর সত্যতার সাক্ষ্য দান করছে, ইতিহাস এর সাক্ষ্য বহন করছে আর এর সাক্ষী হচ্ছে হচ্ছে স্বয়ং তাদের (নিজেদের) উক্তি, জীবনধারা রচিত গ্রন্থাবলী।” (তথ্যসূত্রঃ মাকানাতু আহলিল হাদীস, পৃষ্ঠা , , অভিভাষণ-প্রফেসর . মুহাম্মদ আব্দুল বারী (রহ) ২২৪ ২২৫ পৃষ্ঠা)
. ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (১৬৪-২৪১ হিঃ)- কেক্বিয়ামত পর্যন্ত হক - এর উপরে একটি দল টিকে থাকবেমর্মে বর্ণিত হাদীসের ব্যাখ্যা জানতে চাইলে তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন,
ﻫُﻢْ ﺇِﻥْ ﻟَّﻢْ ﻳَﻜُﻮْﻧُﻮْﺍ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏَ ﺍﻟْﺤَﺪِﻳْﺚِ ﻓَﻼَ ﺃَﺩْﺭِﻯْ ﻣَﻦْ
তারা যদিআহলেহাদীসনা হয়। তাহলে আমি জানি না তারা কারা’? [তিরমিযী হা / ২১৯২; মিশকাত হা/৬২৮৩-এর ব্যাখ্যা; ফাৎহুল বারী ১৩/৩০৬ পৃঃ, হা/৭৩১১-এর ব্যাখ্যা; সিলসিলা ছহীহাহ হা / ২৭০; শারফু আসহাবিল হাদীস পৃঃ নং: ১৫।]
. শায়খ আব্দুল কাদের জীলানী (৪৯১-৫৬১ হিঃ) বলেন, ‘অতঃপর ফির্কা নাজিয়া আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত। আর আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআতের অন্য কোন নাম নেই একটি নাম ব্যতীত। সেটি আহলুল হাদীছ [আব্দুল ক্বাদির জীলানী, কিতাবুল গুনিয়াহ ওরফে গুনিয়াতুত ত্বালেবীন (মিসর: ১৩৪৬ হিঃ) /৯০ পৃষ্ঠা।]
>>>> আহলে হাদীসদের বৈশিষ্ট্য <<<<
১। একমাত্র অনুসরনীয় ইমাম নেতা হচ্ছেন হযরত মুহাম্মাদ (ﷺ)
২। সকল প্রকার সমস্যার সমাধানে কোরআন সহী হাদীস অনুসারে করতে হবে
৩। কোরআন সহী হাদীসে না পেলে সাহাবাগনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে হবে
৪। সাহাবাগনের সিদ্ধান্তে না থাকলে সে সকল বিষয়ে কোরআন হাদীস কে ভিত্তি করে আলেমগন ইজতিহাদ (শরীয়ত গবেষণা) করবেন, কোরআন বা সহী হাদীস বিরোধী ইজতিহাদ হলে চলবে না
৫। কোনভাবেই ধর্মীয় ব্যাপারে দলিল ছাড়া কারো উক্তির অনুসরন করা চলবে না
>>>> আহলে হাদীস কারা <<<

যারা কোরআন সহী হাদিসকে সরাসরি অনুসরন করে তারাই আহলে হাদিস।এই আহলে হাদীসদের পরিচয় জানতে হলে প্রথমেই বুঝতে হবে সাহাবায়ে কিরাম তাবেঈন,তাবে তাবেঈন মাযহাবের ইমাম গন আহলে হাদীস পথ মতের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। আবু হানীফা (রহঃ), ইমাম মালেক (রহঃ), ইমাম শাফেয়ী (রহঃ), ইমাম আহমাদ (রহঃ) মাযহাব সৃষ্টির আগে তথা ইসলামের স্বর্ন যুগে (চার) মাযহাব ছিল না। ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)এর বক্তব্যের মাধ্যমে এর সত্যতা প্রমান পাওয়া যায়। তিনি বলেছেন, “যদি দলীল প্রকাশ হযে যায় তাহলে তোমরা তদানুযায়ী কথা বলবে। (তথ্যসূত্র: রদ্দুল মুহতার, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা নং:-৪৭)তখনকার মুসলিমগন কোরআন সুন্নাহর উপর কায়েম ছিলেন বলে তারা আহলে হাদীস নামে
প্রছারে আহলে হাদিস বাংলাদেশ https://www.facebook.com/mobarakseo